শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:২০ পূর্বাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম:
দিরাইয়ে গ্রাম্য আদিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গৌছ-মজুমদার গ্রুপের বন্দুকের গুলিতে নিজেদের লোকজনসহ ৩০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এরমধ্যে ২৩ জনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। ঘটনাটি মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টায় সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার কুলঞ্জ ইউনিয়নের রাড়ইল গ্রামে ঘটেছে।
সংঘর্ষে আহতরা হলেন গ্রামের গৌছ-মজুমদার গ্রুপের ইমতাজ মিয়ার ছেলে নুনু মিয়া (৬৫), আনু মিয়ার ছেলে অমিত হাসান (১৬), আনফর মিয়ার ছেলে আবুল কালাম চৌধুরী (৬৪), লাল মিয়ার ছেলে মুরশাদ (২৮) ও ফরসাদ মিয়া (২২), মজুমদার চৌধুরীর ছেলে রবিউল ইসলাম (২৫), আব্দুল হেকিমের ছেলে মনু মিয়া (৪০) ও রাজিব মিয়া (২৫), হেফাজুর মিয়ার ছেলে তানভীর মিয়া (২১), সুলতান মিয়ার ছেলে মাহিদ মিয়া (১৯) ও সুজন মিয়া (৩২), গৌছ মিয়ার ছেলে অলিউর রহমান (৩০), শওকত মিয়ার ছেলে রাবেল মিয়া (২৫), নুনু মিয়া চৌধুরীর ছেলে তানিম আহমদ চৌধুরী (২২) ও তাজিম আহমদ চৌধুরী (২১), মদরিছ মিয়ার ছেলে গৌছ মিয়া (৭০), আব্দুল হেকিম মিয়ার ছেলে নানু মিয়া (৩৭)। অপরপক্ষের নূরুল ইসলামের ছেলে সাজ্জুল মিয়া (৪২), রেজা চৌধুরী (১৭), মুহিবুর রহমান (২২), হুমায়ুন আহমদ (৬০), বশির মিয়ার ছেলে বদরুল মিয়া চৌধুরী (২৭) ও শালিস ব্যক্তি টংগর গ্রামের মারফত আলীর ছেলে আব্দুন নূর মিয়া (৫২) আহত হন। গুরুতর আহতদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অনেকেই প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
গ্রামের একটি বিশ্বস্ত সূত্র জানায়, গত জ্যৈষ্ঠ মাসে গ্রামের একটি প্রাইভেট কেন্দ্রে অতর্কিত হামলা করে নুনু মিয়ার ছেলে, এ ঘটনায় মামলাও হয়। এরপর থেকে গ্রামের মধ্যে উত্তেজনা রয়ে যায়। মঙ্গলবার সকালে গৌছ-মজুমদার গ্রুপ পূর্ব প্রস্তুতি নিয়েই গৌছ মিয়া-নুনু মিয়ার নেতৃত্বে গ্রামের পূর্ব অংশে ও আনু মিয়া-মজুমদারের নেতৃত্বে পশ্চিম অংশে গিয়ে অতর্কিত গুলি চালায়। এ সময় অপর পক্ষের লোকজন আত্মরক্ষার্থে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। সূত্রটি আরও জানায়, যখন গোলাগুলি শুরু হয়, তখন গৌছ-মজুমদার গ্রুপের পক্ষের লোকজনের গুলিতেই তারা গুলিবিদ্ধ হয়। সংঘর্ষে শুধুমাত্র গৌছ-মজুমদার গ্রুপই বন্দুক ব্যবহার করেছে।
দিরাই থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) কাজী মোক্তাদির হোসেন জানান, সুনামগঞ্জের দিরাইয়ের রাড়ইল গ্রামের সংঘর্ষের খবর পেয়েছি। এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ পাইনি, মামলা কিংবা কেউ আটকও হয়নি। গ্রামের পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে, আমরা সেখানে যাচ্ছি।